আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা জনগণের মাঝে কাজ শুরু করেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুরের রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহফুজ রহমান (শামীম) মাঠে নামছেন।
ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে MBA মাহফুজ রহমান (শামীম) অতীতে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না থাকলেও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যই একসময় রাজনীতি করতেন। তার মা মাহমুদা সেলিম লায়লা ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী, তার পিতা এহতেশামূল হক সেলিম ৭০ এর দশকের সিরাজগঞ্জ জেলার প্রভাবশালী ছাত্র নেতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে তার পিতা রাজনীতিকে বিদায় দিয়ে বাংলাদেশ এয়্যারলাইন্সে চাকুরী শুরু করেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতীষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সরকারের যুব উন্নয়ন মন্ত্রী সম্পর্কে তার শশুর।
মাহফুজ রহমান (শামীম) অতীতে রাজনীতি না করলেও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন এবং আছেন।
তিনি আন্তর্জাতিক যুব সংগঠন ‘লিও’ -এর ঢাকা লেক ভিউ গার্ডেন ও পিজন ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক সেবামূলক সংগঠন, “লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ 315B3 এর” লায়ন মেম্বার একইসাথে তিনি ‘সিরাজগঞ্জ এসোসিয়েশন ইন ইউনাইটেড কিংডম’ এর কো-ফাউন্ডার। এছাড়াও তিনি অতীতে অনেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন।
সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারলে তিনি জনগণের জন্য কি করবেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচিত হলে, সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলার হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করবো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়নে কাজ করবো, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিগুলোকে পুনর্গঠন করে সৎ এবং শিক্ষিত লোকদের জন্য সেখানে সুযোগ তৈরি করে দিব। যেসব এলাকায় খেলার মাঠ আছে সেই এলাকাগুলোতে একটি করে স্পোর্টিং ক্লাব তৈরি করবো যেন আমাদের ছেলেরা আগামী দিনে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশ করার সুযোগ পায়। একইসাথে আমি সর্বচ্চ চেষ্টা করবো সিরাজগঞ্জকে বৈষম্যমুক্ত একটি এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার। এখানে সকলের সমান সুযোগ তৈরি করতে চাই। আমি চেষ্টা করবো একটি মানবিক এবং সম্প্রীতির সিরাজগঞ্জ তৈরি করার, যেখানে কথায় কথায় মানুষ মানুষকে মারবে না, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে কোনো মারামারি কাটাকাটি হবে না। সর্বপরি আমি সিরাজগঞ্জবাসীর সহযোগিতায় একটি সুন্দর এবং আধুনিক সিরাজগঞ্জ বিনির্মানে সর্বোচ্চ কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।’









