সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার পূর্ব দেলুয়া গ্রাম থেকে মোছা. খাদিজা (২৭) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ওই গৃহবধূর বাড়ির নিজ ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত খাদিজা ওই গ্রামের রুবেল প্রামাণিকের স্ত্রী এবং কামারখন্দ উপজেলার কৃষ্ণচূড়া (রসলপুর) গ্রামের মফিজ উদ্দিন ফকিরের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্বামীর পরিবারের লোকজন খাদিজাকে হত্যা করে ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, খাদিজার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। খেলার শেষ করে ফিরে বড়মেয়ে ঘরে ঢুকে মায়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। স্থানীয়দের দাবি, গলায় ফাঁস দিলে মাটিতে পা লাগা অবস্থায় লাশ থাকা অস্বাভাবিক এ মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে বলে তাঁদের ধারণা।
খাদিজার চাচা ও রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের রসলপুরের সাবেক ইউপি সদস্য সাইদার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে গিয়ে দেখি খাদিজা ঘরের ধর্ণায় ঝুলছে। আমাদের ধারণা, তাকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ঠোঁটে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘খাদিজার স্বামী নিয়মিত কাজ করতেন না এবং বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন। গত সপ্তাহেও পারিবারিক বিরোধ নিয়ে সালিশ বসেছিল।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, খাদিজার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানায় ওসি।









