মঙ্গলবার
২রা ডিসেম্বর, ২০২৫
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হবে না

Fresh News রিপোর্ট
নভেম্বর ২২, ২০২৫
১০:১৮ অপরাহ্ণ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে, যা জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। তিনি স্পষ্ট করে জানান, ফ্যাসিবাদের সহযোগী কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া যাবে না এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান আপসহীন।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত গণমিছিল-পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর এবং দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীদের বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

বিকেল ৪টায় বাংলামোটর থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শাহবাগ ও মৎস্য ভবন এলাকা ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকর করা হলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে। এ রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং গণদাবির প্রতিফলন বলেও তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পক্ষ নিয়েছে। তার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে পিলখানা, শাপলা চত্বর, মোদিবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। জুলাই আন্দোলনের সময়ও নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাই শেখ হাসিনার রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চান তারা।

সমাবেশে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে নির্দিষ্ট একটি মহল। তিনি দাবি করেন, যারা ভারতের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের পরিণামও আওয়ামী লীগের মতোই হবে। তিনি আরও জানান, দেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা জনগণ প্রতিহত করবে।

এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, তাসনূভা জাবিন, ডা. তাসনিম জারা, জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।