মঙ্গলবার
২রা ডিসেম্বর, ২০২৫
১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হলে আসবে প্রকৃত মুক্তি: জামায়াত আমির

Fresh News রিপোর্ট
নভেম্বর ২৩, ২০২৫
৯:২৪ অপরাহ্ণ

যেদিন নামাজের ইমাম সমাজ পরিচালনার নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন, সেদিনই সত্যিকারের মুক্তি মিলবে – এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সমাজের সিদ্ধান্ত মসজিদের মিম্বর থেকেই উঠতে হবে এবং ইমাম-খতিবদের প্রকৃত মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ইমাম-খতিবদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জীবনে- মৃত্যুতেও তারাই মুসলিম জনতার ইমাম।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রাসূলে কারীম (সা.) রাষ্ট্র পরিচালনার কেন্দ্র হিসেবে মসজিদকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। মসজিদে নববী থেকেই রাষ্ট্রীয় পরামর্শ, শাসনব্যবস্থা, বিচার ও কূটনীতি পরিচালিত হতো। সেই আদর্শ সমাজই ছিল মানবসভ্যতার শ্রেষ্ঠ সমাজ। তাই নবীর সমাজব্যবস্থার অনুসরণ ছাড়া কোনো মতবাদই দুনিয়ায় শান্তি ও সম্মান দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ; এখানে আইন চলবে কোরআনের নির্দেশনা মেনে। সত্যিকারের মানবিক সমাজ গঠন করতে হলে ইসলামী মূল্যবোধকে ভিত্তি করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।

অন্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকারের প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, কোরআন সব মানুষের অধিকার রক্ষা করে, এমনকি মদিনার মতোই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে— এমন সমাজব্যবস্থা গড়লেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

মসজিদ কমিটির কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, কমিটি ইমাম-খতিবকে বাদ দিয়ে গঠিত হতে পারে না; বরং ইমাম-খতিবের পরামর্শে পরিচালিত হওয়া উচিত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রেখে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান তিনি।

এসময় তিনি ইমাম-খতিবদের দাবিকে সীমিত দেখে বলেন, শুধু মসজিদের দায়িত্ব নয় – সমাজের নেতৃত্বও তাদের নিতে হবে। “যেদিন নামাজের ইমাম সমাজের ইমাম হবেন, সেদিনই প্রকৃত মুক্তি মিলবে” –  মন্তব্য করেন জামায়াতের শীর্ষ এই নেতা।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র ইমাম মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকি আন নদভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ইমাম-খতিবদের সামাজিক নিরাপত্তা, সম্মানজনক ভাতা, মসজিদ পরিচালনার আধুনিক নীতিমালা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়।