ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গত মাসে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের কারণ বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, সরকারি তদন্তে এমনটিই উঠে এসেছে। মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের কুরিয়ার শেডে ৪৮টি লোহার খাঁচাবদ্ধ অফিস ছিল, যেখানে ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর, স্প্রিংলার বা অগ্নিনির্বাপক হাইড্রেন্ট কোনোটিই ছিল না। নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দাহ্য বিভিন্ন পণ্য, পলিথিন মোড়ানো কাপড়, রাসায়নিক দ্রব্য, বডি স্প্রে, পারফিউম, ব্যাটারি ও ওষুধের কাঁচামাল—অবাধে মজুত রাখা হয়েছিল।
তদন্ত প্রতিবেদনে ৯৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কুরিয়ার শেডের বর্ধিত অংশের উত্তর-পশ্চিম কোণে বৈদ্যুতিক আর্কিং থেকে শর্ট সার্কিটের সৃষ্টি হয় এবং সেখান থেকেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রেস সচিব জানান, এটি কোনো নাশকতা নয়। তুরস্ক থেকে আসা বিশেষজ্ঞ দল, বুয়েট, ফায়ার সার্ভিস এবং সিআইডি ফরেনসিক টিম, সব পক্ষের প্রতিবেদনেই একই কারণ নিশ্চিত হয়েছে।









