জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, গণহত্যা ও ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের কোনাবাড়ী দারুল উলুম কওমীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে এক উঠান বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইকবাল হাসান টুকু বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আজকে আর বাচ্চা পোলাপানের কাছে কোনো মূল্য নাই, কেননা, মুক্তিযুদ্ধ বেচে হাসিনা ১৬ বছর মানুষকে অত্যাচার করেছে। ‘নতুন প্রজন্ম যখন দেখেছে, শহীদ জিয়াউর রহমানের ‘‘বীরউত্তম’’ উপাধি নিয়ে নিল, তখন কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রতিবাদ করেনি; টুঁ শব্দ করেনি। তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে আবার মুক্তিযুদ্ধ বোঝাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ যে আসলে আমাদের গৌরব; মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া এ দেশের মানুষ বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারত না, অথচ সেই মুক্তিযুদ্ধকে তারা বুঝতেছে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য জামায়াতের উদ্দেশে বলেন, এখন গ্রামে গ্রামে গিয়ে মা-বোনদের ‘‘তালিমি ক্লাস’’ করাচ্ছে। তালিমি ক্লাস করে বোঝাচ্ছে—আপনাদের জামায়াতকে ভোট দিতে হবে। জামায়াত রসুলের পথে হাঁটে আর আমরা শয়তানের পথে হাঁটি। এটা আবার আমার মা-বোনেরা বিশ্বাসও করে। জামায়াত আপনাদের সঙ্গে মুনাফিকি করছে। ‘জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলছে। তখন তারা একাত্তরের বিরোধিতা করেছে। গণহত্যা করেছে। মেয়ে মানুষের ইজ্জত লুটেছে। আমরা ভাতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করিনি, আমরা একটা দেশ স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম।
টুকু আরও বলেন, এই যে জামায়াতে ইসলাম, আল্লাহ আসলে যে জিনিস নিষেধ করেছেন, রাসুল যে জিনিস নিষেধ করেছেন; নিজের স্বার্থে, দলীয় স্বার্থে, গোষ্ঠীর স্বার্থে ইসলামকে ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এটা আল কোরআনে বলা আছে। আর জামায়াত যদি কোরআন না মানে, তাহলে তারা তো মুনাফিক। জামায়াত বলছে, রোজা রাখা যেমন ফরজ, জামায়াতের নেতাদের নির্বাচন করাও ফরজ। কত বড় মুনাফিকি; ধর্মের নামে তারা এগুলো করছে।
উঠান বৈঠকের শেষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে উপস্থিত সাধারণ মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিএনপির এ নেতা। এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল রাব্বি উথান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।









