ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহর প্রভাবে শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ায় একের পর এক দুর্যোগে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় টানা বৃষ্টি, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ১২৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, আর নিখোঁজ আছেন আরও অন্তত ১৩০ জন। ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা ও ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা ইতোমধ্যে ২৪৮–এ পৌঁছেছে, আর নিখোঁজ শত শত মানুষকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
শ্রীলঙ্কায় গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি করেছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জানিয়েছে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। ভূমিধসের কারণে বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, ফলে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। মধ্য তাপানুলি ও আশপাশের অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় নদীর পানি গ্রামাঞ্চলে ঢুকে শত শত ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বন্যার সঙ্গে ভূমিকম্পের প্রভাব যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
গত সপ্তাহের অস্বাভাবিক বর্ষণে সুমাত্রার নদীগুলো উপচে উঠে পুরো অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে। এখনো অনেক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়াহ এখন ভারতের তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশের মধ্যবর্তী উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। সম্ভাব্য বিপদের কারণে স্থানীয় প্রশাসন রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।
এশিয়ার দুই দেশে একযোগে এই দুর্যোগ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, আর উদ্ধারকাজ আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।









