৯৬ মিনিটেও হাল ছাড়েনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, তবে একের পর এক সেইভে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন টটেনহ্যাম গোলরক্ষক গুইলেলমো ভিকারিও। ম্যাচের প্রথমার্ধে করা ব্রেনান জনসনের একমাত্র গোলে ইউরোপা লিগ ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে স্পার্স, যা তাদের ২০০৮ সালের পর প্রথম শিরোপা এবং ৪১ বছর পর ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ।
বুধবার রাতে স্পেনের বিলবাওয়ের স্যান মামোস স্টেডিয়ামে টটেনহ্যাম যেন গড়ে তুলেছিল এক ঐতিহাসিক রক্ষণদেয়াল। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে রাসমুস হয়লুন্ডের হেড বাঁচিয়ে গোললাইনের ওপর থেকে বল ক্লিয়ার করেন মিকি ভ্যান দে ভ্যান। সেই মূহূর্তেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
এর আগে ম্যাচের ৪২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে পাপে সারের ক্রসে ছয় গজ বক্সে ব্রেনান জনসন প্রথমে শট নেন, যা লুক শর গায়ে লেগে দিক বদলায়। দ্বিতীয়বার পায়ে স্পর্শ করে বল জালে পাঠিয়ে দেন জনসন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শুরু থেকেই বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও ফিনিশিংয়ে ছিল দুর্বল। ব্রুনো ফার্নান্দেজ, লেনি ইয়োরো, আলেহান্দ্রো গার্নাচো—সবাই চেষ্টা করেছেন, কিন্তু স্পার্স গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় তাদের গোল উৎসব হয়ে ওঠেনি।
অন্তিম মুহূর্তে ক্যাসেমিরোর একটি ওভারহেড কিক সাইডনেটে গিয়ে আঘাত করে। তখনই বুঝে যায় ইউনাইটেড, রাতটা তাদের নয়।
স্পার্সের সর্বশেষ শিরোপা এসেছিল ২০০৭-০৮ মৌসুমে, যখন তারা ঘরোয়া লিগ কাপ জিতেছিল। আর ইউরোপিয়ান ট্রফির কথা বলতে গেলে ফিরতে হয় ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে, যখন তারা উয়েফা কাপ জয় করেছিল।
এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে, আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলবে টটেনহ্যাম। রক্ষণ ও সংঘবদ্ধতার এক অনন্য প্রদর্শনী দেখিয়ে তারা কেবল একটি ম্যাচ নয়, একটি অধ্যায় জয় করে নিলো ইউরোপিয়ান ফুটবলের ইতিহাসে।