নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকা কয়েকটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটের আদেশ আজ সোমবার (২৬ মে) হাইকোর্টে ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ এই আদেশ দেবেন।
গত ১৯ মে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রওশন আলী এই রিট দায়ের করেন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন তিনিই। অন্যদিকে, উইমেন রিফর্ম কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
রিটে বলা হয়, নারী সংস্কার কমিশনের ২০২৫ সালের রিপোর্টের ৩১৮ পৃষ্ঠার সুপারিশগুলোর মধ্যে অধ্যায় ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২–তে এমন কিছু প্রস্তাবনা রয়েছে, যা ইসলামী শরিয়ত, বাংলাদেশের সংবিধান এবং ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিশেষভাবে প্রতিবেদনের অধ্যায় ১১–তে পুরুষ ও নারীর সমান উত্তরাধিকার দেয়ার প্রস্তাব কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থি বলেও দাবি করা হয়। একইসঙ্গে বহুবিবাহ নিষিদ্ধের প্রস্তাব সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ন করে বলেও উল্লেখ করা হয়।
রিপোর্টে ‘মাই বডি, মাই চয়েস’ স্লোগান এবং যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবও রিটে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এর পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার ও লিঙ্গ পরিচয় সংক্রান্ত প্রস্তাবনাগুলো ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়। এতে তিনটি মন্ত্রণালয় এবং উইমেন রিফর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতের আজকের আদেশে কমিশনের সুপারিশগুলোর ভবিষ্যৎ কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।