বিসিবির পরিচালনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকলেও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জানিয়েছেন, সবকিছুই হয়েছে গঠনতন্ত্র মেনে এবং আইসিসির সঙ্গে আলোচনা করেই।
শনিবার হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে জাতীয় হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ফারুক আহমেদকে জোরপূর্বক সভাপতি অপসারণ করা হয়নি। বরং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে তার দায়িত্ব প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা এনএসসির এখতিয়ারেই পড়ে। এই সিদ্ধান্তের পরেই তার সভাপতির দায়িত্ব চলে যায়, যা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, বিসিবির সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে এনএসসির কোনো ভূমিকা নেই। তারা কেবল পরিচালক মনোনয়ন দেয়। সভাপতি নির্বাচিত হন পরিচালকদের ভোটে। এভাবেই ফারুক আহমেদ নির্বাচিত হয়েছিলেন, এবং বর্তমানে আমিনুল ইসলাম বুলবুলও সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সভাপতি হয়েছেন।
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে নিষেধাজ্ঞায় পড়লেও বাংলাদেশে তেমন কিছু হয়নি বলে দাবি করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সরকারের এখতিয়ার যতটুকু, ততটুকুই করা হয়েছে এবং আইসিসির সঙ্গে পুরোপুরি যোগাযোগ রেখেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইসিসিও নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত পরিচালক ছাড়া অন্যদের বিষয়ে এনএসসি হস্তক্ষেপ করেনি। পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী অক্টোবরে। তার আগে প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব বদলের আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, ক্লাব ও জেলা-ভিত্তিক ক্রীড়া সংস্থা পুনর্গঠনের কাজ চলছে এবং ভবিষ্যতে প্রকৃত সংগঠক ও ক্রিকেটারদেরই নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে ২৫ জন পরিচালক রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জন জেলা ও বিভাগ থেকে, ১২ জন ঢাকার ক্লাব থেকে, ১ জন সাবেক খেলোয়াড় এবং ২ জন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত হয়ে থাকেন। গত কয়েক বছরে এনএসসি কোটায় পাঁচজন পরিচালক পরিবর্তন হয়েছে, সর্বশেষ ফারুক আহমেদের জায়গায় দায়িত্ব নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।