১৯৯৩ সালের পর আবারও মিউনিখ শহর দেখল ফরাসি ক্লাবের ইউরোপ জয়। এবারে অলিম্পিক মার্শেই নয়, প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতে নতুন ইতিহাস গড়েছে পিএসজি, ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে।
মিউনিখের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে যেন অলিখিত নিয়ম – নতুন চ্যাম্পিয়ন পায় ইউরোপ। এবারেও তার ব্যতিক্রম হলো না। পিএসজি দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্সে নিজেদের ঝুলিতে তুললো কেবল ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্ব নয়, বরং একটি ট্রেবলও নিশ্চিত করল তারা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখল ও আক্রমণে আধিপত্য ছিল পিএসজির। কোচ লুইস এনরিকের কৌশলে গোটা আসর জুড়েই আক্রমণাত্মক ছিল ফরাসি জায়ান্টরা। ফাইনালেও একই ধারা বজায় রেখে শুরুতেই চাপে ফেলে ইন্টার মিলানকে। মাত্র ১২ মিনিটে ভিতিনহার পাস থেকে গোল করেন আশরাফ হাকিমি। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দুয়ে।
ইন্টার কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলোর কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেনি। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ড্রেসিং রুমে ফেরে পিএসজি।
বিরতির পরও ছন্দ হারায়নি পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ভিতিনহার শটে ব্যবধান বাড়ায় তারা। এরপর ৭৩ মিনিটে কাভারাৎসখেলিয়া ও ৮৬ মিনিটে সেনি মায়ুলুর গোলে পূর্ণ হয় ৫ গোলের দারুণ জয়।
ডেম্বেলে, হাকিমি, ভিতিনহা, কাভারাৎসখেলিয়া ও মায়ুলুর পারফরম্যান্সে ইন্টার পুরোপুরি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ইতিহাসে এত বড় ব্যবধানে জয় এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
এবার আর মেসি-নেইমার-এমবাপে নয়, পিএসজি ইতিহাস গড়ল একদল নতুন নামের কাঁধে ভর করে। ইউরোপের ফুটবলে নতুন চ্যাম্পিয়নের নাম এখন প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন।