ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ফিটনেসবিহীন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহনের চলাচল বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংস্থাটি মনে করে, এসব যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা, যানজট ও যাত্রী ভোগান্তি বাড়ছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান। তারা বলেন, প্রতি ঈদেই দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনে ঝুঁকিপূর্ণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ও অচল বাস, ট্রাক, লেগুনা, মাইক্রোবাস, নছিমন-করিমন, এমনকি সিটি সার্ভিস মিনিবাস পর্যন্ত রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে নৌ ও রেলপথেও পুরনো কোচ ও ইঞ্জিনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে, যা প্রাণহানি ও দীর্ঘ যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে পাঁচ লাখের বেশি যানবাহনের ফিটনেস নেই। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, সাত লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, এক লাখ নছিমন-করিমন এবং ২০ লাখ মোটরসাইকেল – যা প্রতিনিয়ত জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। পাশাপাশি পশুর হাট ও পশুবাহী ট্রাকের কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমে যায় এবং যানজট বাড়ে।
সংগঠনটি জরুরি ভিত্তিতে এসব অননুমোদিত ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন মহাসড়ক থেকে অপসারণের দাবি জানায়। একই সঙ্গে সড়ক-মহাসড়কের দখলমুক্তকরণ ও বাধাহীন যানবাহন চলাচলে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা কামনা করে।
তারা নৌপথে ঝুঁকিপূর্ণ যান চলাচল বন্ধ, লোডলাইনের বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ এবং সবপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়। বাস টার্মিনাল, লঞ্চ ঘাট ও রেলস্টেশনে বসার স্থান, প্রয়োজনীয় শৌচাগার ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়।
এছাড়া ঈদযাত্রার সময় পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও টানাপাটির মতো অপরাধ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি।