শুক্রবার
৬ই জুন, ২০২৫
২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে এক মাসে প্রবেশ ৩৩৭ জনের পুশ ইন

Fresh News রিপোর্ট
জুন ২, ২০২৫
৩:৩০ অপরাহ্ণ

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে গত এক মাসে ৩৩৭ জন বাংলাদেশিকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বড়লেখা উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ শাহবাজপুর, পাল্লথল সীমান্ত, জুড়ীর রাজকি সীমান্ত, কুলাউড়ার মুরইছড়া এবং কমলগঞ্জের ধলই, বাগীছড়া ও চাম্পাছড়া সীমান্ত দিয়ে এসব বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। গত ৭ মে থেকে শুরু হওয়া এই ধারাবাহিক পুশইনে সবচেয়ে বেশি প্রবেশ ঘটে বড়লেখা উপজেলা দিয়ে, যার সংখ্যা ২৫১ জন। জুড়ী দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া দিয়ে ২১ জন এবং কমলগঞ্জ দিয়ে ৫৫ জন প্রবেশ করে। আরও অনেকে অনুপ্রবেশ করলেও তাদের অনেককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

আটককৃতদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে। এদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। জানা গেছে, এদের অনেকে ভারতের আসামে পাঁচ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে বসবাস করছিলেন। হঠাৎ করে ভারতীয় পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভেঙে হেলিকপ্টারে ত্রিপুরার মানিকভান্ডারে এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। সেখান থেকে কিছু অংশকে সীমান্ত গেট খুলে ধলই দিয়ে পুশইন করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, পুশইনের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। বিজিবি কয়েকশ’ জনকে আটক করলেও বাকি অনুপ্রবেশকারীরা স্থানীয় দালাল বা অন্য মাধ্যম ব্যবহার করে সিএনজি, অটোরিকশা বা অ্যাম্বুলেন্সে করে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে। টাকা না থাকলেও অনেকে বিকাশের মাধ্যমে গাড়িচালকদের টাকা পাঠিয়েছে বলে জানা যায়।

অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে রোহিঙ্গা পরিচয়ের ব্যক্তিরাও রয়েছে, যারা স্থানীয়দের সহায়তায় চট্টগ্রামে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমলগঞ্জের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন।

৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান এবং ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।