কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় প্রধান দুই অভিযুক্ত প্রদীপ কুমার দাশ ও মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।
হাইকোর্টের রায়ে যাদের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে, তারা হলেন টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা, সাগর দেব, বাহারছড়ার মো. নুরুল আমিন, মো. আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।
মামলার শুনানি শেষ হয় গত ২৯ মে এবং এদিনই রায় ঘোষণার জন্য ৩ জুন নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। মামলার তদন্তে উঠে আসে, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। ঘটনার পরদিন সিনহার বোন মামলা করলে তদন্ত করে র্যাব আদালতে চার্জশিট দেয় এবং এতে হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলা হয়।
ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও আপিল করেন। সব দিক বিবেচনায় আজকের রায়ে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখে, যা মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।