ময়মনসিংহ জেলায় পৃথক ঘটনায় ২৪ ঘণ্টায় তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে এবং সাপের কামড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক যুবক। রোববার (১৩ জুলাই) জেলার সদর ও ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কাউয়ালটি নামাপাড়া গ্রামে দুই শিশু হোসাইন (৫) ও রেজোয়ান হোসেন (৬) শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। হোসাইন ওই গ্রামের আরিফ রব্বানীর ছেলে এবং রেজোয়ান আসাদুজ্জামানের ছেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রোববার দুপুরে বাড়ির পাশে ডোবার পাড়ে তাদের জুতা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা সন্দেহ করে এবং পরে ডোবা থেকে দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই ধরনের আরেকটি ঘটনা ঘটেছে ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মরচী গ্রামে। হাফিজুল ইসলামের মেয়ে মীম আক্তার (৭) শনিবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর রোববার বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে ভালুকা উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে সাপের কামড়ে মারা গেছেন জাহাঙ্গীর আলম তুষার (২৫)। তিনি ওই গ্রামের মো. আবুল হোসেনের ছেলে এবং ‘জাহাঙ্গীর স্টোর’ নামে একটি দোকানের মালিক ছিলেন।
শনিবার রাতে দোকানে কাজ করার সময় ক্যাশবাক্সের নিচ থেকে বেরিয়ে আসা বিষধর সাপ তার ডান পায়ে কামড় দেয়। জাহাঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের লোকজনকে জানিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার উদ্যোগ নেন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম তুষার আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।