বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সিরাজগঞ্জ জেলাতে আওয়ামীলীগের অত্যাচারের কারণে সন্ধার পরে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে নাই। মানুষ বাজার করে ফিরতে পারে নাই। বাজারের ব্যাগ ধরে টান দিয়ে নিয়ে চলে যেত। এই আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জে ক্যাম্প বানিয়ে মানুষ হত্যা করেছে।
আজ শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মাছুমপুর মহল্লায় সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে নির্মিত ‘জুলাই শহীদ রঞ্জু স্মৃতি স্তম্ভ’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু আরও বলেন, গত ১৬ বছর আমরা একটা বৃহৎ গণকারাগারে বাস করেছি। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে একটি মহিলা, তার বাহিনী এবং তার দলকে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে একটি বৃহৎ জেলের বাসিন্দা বানিয়ে ফেলেছিল। সিরাজগঞ্জের ইতিহাসে আমি কোনদিন দেখি নাই, বাংলাদেশের স্বাধীনতাতেও আমরা দেখি নাই – কোন একটি রাজনৈতিক দল জাতির উপরে এভাবে নির্যাতন করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এক বিরাট পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। মানুষকে জীবন দিতে হয়েছিল। আবারও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে, আবার নির্যাতন শুরু করেছিল৷৷ নির্যাতন করে ১৬ টি বছর বাংলাদেশকে একেবারে তামাই রূপান্তরিত করেছিল।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ঋণ সম্পর্কে টুকু আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের ঘাড়ে শত কোটি টাকার ঋণ লেগে আছে। এখন এতো ঋণ হয়ে গেছে, সরকার চালানোই কঠিন হয়ে গেছে। গত ১৬ বছর আমরা মাঠে থেকে সংগ্রাম করেছি, আন্দোলন করেছি, বিভাগে বিভাগে বড় বড় মিটিং করেছি। তারপর ছাত্র জনতা, কৃষক, শ্রমিকসহ সবাই মিলে ৫ তারিখ ফাইনাল খেলা খেলেছি।
উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ আহমদ সবুজসহ জেলা, ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জে ছাত্র গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের সময় গুলি ও পরবর্তীতে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা কর হয় সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান খান রঞ্জুকে।