আইপিএলের মেগা নিলামের দ্বিতীয় দিনের শেষ ধাপে বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটারের মধ্যে কেবল মুস্তাফিজুর রহমান এবং রিশাদ হোসেনের নাম ছিল। রিশাদকে দল না পাওয়া বোধগম্য হলেও, মুস্তাফিজুর রহমানের অবিক্রিত থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের বিস্মিত করেছে।
গেল মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজের প্রতি এবার কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির আগ্রহ দেখা যায়নি। আইপিএলে মুস্তাফিজের যাত্রা এক রোলারকোস্টারের মতো, শুরু হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ থেকে। এরপর মুম্বাই, রাজস্থান, দিল্লি হয়ে চেন্নাইয়ে খেলেছেন তিনি। তবে এবার চেন্নাইসহ কোনো দলই তাকে দলে নেয়নি।
পারফরম্যান্স প্রশ্নে সমালোচনা:
চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও বাইরের মাঠে মুস্তাফিজের রান খরচ বেশি। গত মৌসুমে চিদাম্বারামে ১৫.৭৩ রানে প্রতি উইকেট পেলেও, অন্যান্য মাঠে ৪৮ রানের বেশি খরচ করেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সম্ভবত তার একপেশে পারফরম্যান্স এবং ধারাবাহিকতার অভাবে সরে এসেছে।
বিসিবির ভূমিকা ও রাজনৈতিক গুঞ্জন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিয়মিতভাবে খেলোয়াড়দের আইপিএল থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলিয়েছে, যা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করেছে। এছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম “সংবাদ প্রতিদিন” দাবি করেছে, রাজনৈতিক বৈরীতার কারণেও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রতি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আগ্রহ কমেছে।
সমস্যার গভীরে:
গেল মৌসুমে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তার জন্য নির্ধারিত ২ কোটি রুপির বেস প্রাইস এবং নিলামের শেষ দিকে তার নাম ওঠার কারণেও তাকে দলে নেয়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। অন্যদিকে, স্থানীয় ভারতীয় খেলোয়াড়রা তুলনামূলক চড়া দামে বিক্রি হয়েছে।
এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাদ পড়া নিয়ে ভক্তদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের পাশাপাশি বিস্তর আলোচনা চলছে।