পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘হাওরের ১০০ বছর এবং আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, “হাওর বাংলাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি শুধু পরিবেশগত নয়, অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই সম্পদ সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সচেতন করতে হবে। মানুষ সচেতন হলে তারাই হাওর রক্ষায় উদ্যোগী হবে।”
স্থানীয় পর্যায়ে কাজের তাগিদ
সচিব জানান, হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, “শুধু ঢাকায় বসে কাজ করলে হাওরের সুরক্ষা সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “হাওর এলাকাকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে বিবেচনা করে তার সুরক্ষায় পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এছাড়া হাওরে ভ্রমণে আসা মানুষদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।”
হাওরের সুরক্ষায় পদক্ষেপ
সারা দেশের জলাভূমির তালিকা প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সচিব বলেন, “দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত পানির সমস্যা মোকাবিলায় মিঠা পানির সংরক্ষণ জরুরি। উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দিষ্ট পুকুর বা জলাশয় চিহ্নিত করে খাবার ও অন্যান্য কাজে ব্যবহার উপযোগী করার উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, হাওরবেষ্টিত সাতটি জেলার মধ্যে বর্তমানে দুটি জেলায় হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিস রয়েছে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলোতেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অফিস স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান
সচিব নাজমুল আহসান জানান, পরিবেশ সংরক্ষণে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি হয়েছে। তিনি বলেন, “সমুদ্র সৈকতে এখন মানুষ আগের মতো ময়লা ফেলে না। একইভাবে হাওর সংরক্ষণেও এই সচেতনতা তৈরি করতে হবে। প্রকৃতি সংরক্ষণের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মেরও।”
এই কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে হাওর সংরক্ষণে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।