টেলিভিশন উপস্থাপক ও সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পরপরই এসব আমানতের মধ্যে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে তার ব্যাংক হিসাবে স্থিতি মাত্র ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।
এই লেনদেন ১৭টি ব্যাংকের মাধ্যমে হয়েছে, এবং সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওয়ান ব্যাংকের মাধ্যমে। বিধিবহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) দ্বারা জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় তার শান্তিনিকেতনে একটি ১৬৫ বর্গফুট এবং রোজাগ্রীণে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যা তার অন্য আর্থিক সম্পত্তির একটি অংশ হিসেবে ধরা হয়েছে।
মুন্নী সাহা তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেছিলেন ভোরের কাগজ থেকে, তারপর তিনি একুশে টেলিভিশন এবং এটিএন বাংলায় যোগ দেন। তিনি শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে তার বিশেষ ভূমিকার জন্যও পরিচিত।
এছাড়া, জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার হত্যাকাণ্ডে মুন্নী সাহা সহ ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের একাধিক মন্ত্রী-এমপি, পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।