নাজমুল হাসান:
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয়। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে কামারখন্দের মানুষ দেখেছিল অসীম ত্যাগ ও সংগ্রামের দৃশ্য। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী আক্রমণ ও স্থানীয় জনগণের ঐকান্তিক সহযোগিতায় হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কামারখন্দে হানাদার বাহিনী বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি স্থাপন করেছিল এবং সাধারণ মানুষের ওপর চালিয়েছিল নৃশংস অত্যাচার। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, নিরীহ মানুষ হত্যা ও নারীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন—এসব ছিল তাদের নিত্যদিনের কর্মকাণ্ড। কিন্তু দেশপ্রেমে উজ্জীবিত মুক্তিকামী জনতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কামারখন্দ মুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের মুক্তির পথ আরও সুগম হয়।
কামারখন্দ মুক্ত দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে এক অনন্য গৌরবের প্রতীক। এ দিনটি শুধু একটি এলাকার মুক্তির নয়; বরং এটি ছিল পুরো দেশের স্বাধীনতার জন্য বিজয়ের বার্তা। আজও এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় ত্যাগ ও বীরত্বের সেই গল্প, যা স্বাধীনতার জন্য প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করে।