নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে আসা অ্যাপল এবার হ্যাকারদের প্রধান নিশানায় পরিণত হয়েছে। নতুন এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইওএস ডিভাইসকে এখন সহজেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে ফেলছে হ্যাকাররা। ফলে লাখ লাখ ব্যবহারকারী তাদের ডাটা সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
লুকআউটের সিকিউরিটি অ্যানালিস্টদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইফোন বিক্রির সংখ্যা কম হলেও এর উচ্চমূল্য এবং এন্টারপ্রাইজ সেগমেন্টে জনপ্রিয়তার কারণে হ্যাকারদের কাছে এটি আরও আকর্ষণীয় লক্ষ্য। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে আইওএস ডিভাইসগুলোর ১৮.৪ শতাংশ ফিশিং অ্যাটাকের শিকার হয়েছে, যেখানে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১১.৪ শতাংশ।
আইফোন ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা হলো তাদের বিটা ভার্সন ইনস্টল করার প্রবণতা। এই আপডেটগুলোর সিকিউরিটি লেভেল সাধারণ পাবলিক ভার্সনের তুলনায় কম, যা হ্যাকারদের জন্য একটি সহজ পথ তৈরি করে। এ ছাড়া ফিশিং অ্যাটাকের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড, ইউজারনেম, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও নিয়মিত ঘটছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অচেনা লিংকে ক্লিক করা বা অপরিচিত ই-মেইলের আকর্ষণীয় অফার গ্রহণ করা বিপদ ডেকে আনতে পারে। একবার হ্যাকাররা ডিভাইসে প্রবেশ করলে ব্যবহারকারীরা তা টের পাওয়ার আগেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি হয়ে যায়।
২০২৫ সালে এই ধরনের সাইবার আক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকাররা আরও জটিল এবং প্রতারণামূলক ফিশিং অ্যাটাক চালানোর সক্ষমতা অর্জন করছে।
এই পরিস্থিতিতে, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, নিয়মিত সিকিউরিটি আপডেট ইনস্টল, এবং ফিশিং লিংক এড়িয়ে চলার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সাইবার নিরাপত্তার এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।