হাশরের ময়দানে যখন সবাই নবীদের দ্বারে দ্বারে দৌড়াবে, তখন কেবল সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, মুহাম্মদ (সা.)-ই আল্লাহর দরবারে সুপারিশের জন্য সাহস করবেন। নবীজি (সা.) সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে সুপারিশ করার অনুমতি চান, এবং তারপরই তিনি তার উম্মতের জন্য নাজাতের সুপারিশ করবেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক নবীকেই একটি বিশেষ দোয়া দিয়েছেন, যা অবশ্যই কবুল হবে। প্রত্যেক নবী তার প্রয়োজন অনুযায়ী এক-একটি দোয়া করেছেন, কিন্তু আমি পৃথিবীতে কোনো কিছু চেয়েছি না। আমি রোজ হাশরে আমার উম্মতের জন্য সুপারিশ করতে চাইব, যাতে তাদের নাজাত হয়” (বুখারি : ৫৮৬৩)।
আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, “আল্লাহ তায়ালা আমাকে দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন—একটি হলো, আমার উম্মতের অর্ধেককে বিনা হিসাবে বেহেশতে দেওয়া হবে, অথবা আমি সুপারিশ করতে পারব। আমি সুপারিশের ক্ষমতাই গ্রহণ করেছি, কাজেই আমি শুধু মুশরিক ছাড়া সবার জন্য সুপারিশ করব” (ইবনে মাজাহ : ৪৩১৭)।
এই সুপারিশটি হাশরের ময়দানে আল্লাহর বিশেষ ক্ষমতা হিসেবে নবী (সা.)-এর উম্মতের জন্য এক মহামূল্যবান উপকারিতা, যা তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।