গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “ছাত্ররা নতুন দল গঠন করতে চাইছে, আমরা স্বাগত জানাই। তবে ক্ষমতায় থেকে দল গঠন বাংলাদেশের মানুষ ভালোভাবে নেয় না। জনগণের স্বার্থে রাজপথে থেকে নতুন দল গড়ে তুলতে হবে।” শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। বক্তব্যের শুরুতেই জোনায়েদ সাকি ছাত্র ফেডারেশনকে শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, “আগামী দিনের বাংলাদেশ আপনাদের দিকে চেয়ে আছে। প্রস্তুত হন নতুন দেশ গঠনের জন্য। কোনো শক্তি আমাদের পদানত করতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে, যা ছাত্রদের মধ্য থেকেই আসবে। বাংলাদেশের মানুষ আজ বাজারে গিয়ে সংকটে পড়ছে, জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ সংকট থেকে মুক্তি পেতে রাষ্ট্রব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজন। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার, তা না হলে ব্যর্থ হতে হবে।”
গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, “আহত-নিহতদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্রের উত্তরণ নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সরকার এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসরদের দমন করতে পারেনি, আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দিচ্ছে না। তাই জনগণ সরকারের কার্যক্রমের ওপর আস্থা হারাচ্ছে।”
সমাবেশে শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখতার বলেন, “আমরা চাই না আরেকটি ফ্যাসিবাদ তৈরি হোক। ছাত্রসমাজ দেশের মানুষের অধিকারের জন্য ভূমিকা রাখবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।” এছাড়া যাত্রাবাড়ীতে জুলাই আন্দোলনে আহত জামাল বলেন, “আমরা যারা আহত হয়েছি, তারা চিকিৎসা পাচ্ছি না। হাসপাতালে গিয়েও পর্যাপ্ত ওষুধ পাই না। ভবিষ্যতে আমাদের কী হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন শেখ, ঢাকা মহানগর সভাপতি আল আমীন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শ্রীধাম শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা ও টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বীথি।