একটি যৌথ গবেষক দল তিউনিশিয়া ও লিবিয়া সীমান্তে অভিবাসীদের প্রতি বেআইনি ব্যবসা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা ইউরোপীয় সংসদে ২৯ জানুয়ারি উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সীমান্তে আসা অভিবাসীদের সাথে মানবতার বিপরীতে অপরাধ, নির্যাতন, এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, তিউনিশিয়া ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের সাথে বেআইনি ব্যবসা করে, যেখানে অনেক অভিবাসীকে পণ্যের মতো বিক্রি করা হয়। তাদের সাথে চুক্তি বা অর্থের লেনদেনের মাধ্যমে এ অপরাধ সংগঠিত হয়। অভিবাসীরা পণ্য, জ্বালানি এবং অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের হাতে বিক্রি হয়ে যায়, বিশেষত রাতের সময়।
বিষয়টি আরও অবর্ণনীয় হয় যখন এই অভিবাসীদের মধ্যে নারী, শিশু এবং গর্ভবতী মহিলারাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি, অভিবাসীদের পরিবার থেকে মুক্তিপণের অর্থ দাবি করা হয়। এদিকে, তিউনিশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তিউনিশিয়ার সাথে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি করেছে, যার মাধ্যমে ১০ কোটি ইউরো সহায়তা প্রদানের কথা রয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা তিউনিশিয়া ও লিবিয়া কর্তৃপক্ষের এই অবৈধ কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে।