রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের মাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সেনাদের উপস্থিতি রাশিয়া মেনে নেবে না। তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর, যা সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ল্যাভরভ বলেন, “নতুন কোনও পতাকার অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি আমাদের জন্য কিছুই পরিবর্তন করে না। এটি একেবারে অগ্রহণযোগ্য।” তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া যত দ্রুত সম্ভব একে অপরের দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে এবং “সম্পূর্ণ সহযোগিতা পুনরায়” শুরু করার পরিবেশ তৈরি করবে। রাশিয়ার এই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেছিলেন, ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনের এতে যোগদান রাশিয়ার জন্য “সরাসরি হুমকি” হয়ে দাঁড়াবে।
বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই আলোচনাকে দীর্ঘ এবং কঠিন যাত্রার প্রথম ধাপ বলে মন্তব্য করেছেন, যা যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে, ইউক্রেনকে এই আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, এবং প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ বিষয়টিকে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে “হতাশ”। তিনি বলেছিলেন, “এটা (আলোচনায় অংশ না নেওয়া) খুব সহজেই নিষ্পত্তি করা যেত।” ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ইউক্রেনের সাথে আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে “অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী” এবং তিনি বিশ্বাস করেন, “এই যুদ্ধ শেষ করার ক্ষমতা তার রয়েছে।”