রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

জার্মানির ফেডারেল নির্বাচনে জয়ী সিডিইউ

Fresh News রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫
১১:০০ পূর্বাহ্ণ

জার্মানির ফেডারেল নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছে দেশটির খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটস (সিডিইউ/সিএসইউ)। রোববারের নির্বাচনে প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দলটির নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ বিজয় ঘোষণা করেছেন।

ভোট গণনার পর আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে, সিডিইউ ও সিএসইউ জোট পেয়েছে ২৮.৫ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি), যারা ২০.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ফলে বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলও মিলেছে।

এদিকে বর্তমান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি) ব্যাপক ভোট কম পেয়েছে। তাদের ভোটের পরিমাণ আগের তুলনায় প্রায় ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬.৪ শতাংশে।

এই ফলাফলে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি, ফলে সরকার গঠনের জন্য জোটবদ্ধ হতে হবে। সিডিইউ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা এএফডির সঙ্গে জোট করবে না। ফলে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েও সরকার গঠনের সম্ভাবনা নেই কট্টর ডানপন্থিদের।

জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে। সিডিইউ এসপিডির সঙ্গে সরকার গঠন করতে পারে, অথবা গ্রিন পার্টিকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন জোট তৈরি করতে পারে। তবে সিডিইউ নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ জানিয়েছেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দীর্ঘ আলোচনা হবে।

অন্যদিকে, এএফডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, তাদের বিরুদ্ধে যে ‘ফায়ার ওয়াল’ তৈরি করা হয়েছিল, ভোটাররা সেই নীতির বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। পার্লামেন্টে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে তারা তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছে দলটি।

এই নির্বাচনের ফলে জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন সিডিইউ নেতা ফ্রেডরিখ মার্জ। তিনি বলেছেন, ইউরোপকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের প্রভাবমুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। তার বিজয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৬ কোটি ভোটার ছিলেন, যার মধ্যে ৮৩-৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। জার্মানির সাম্প্রতিক নির্বাচনের ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড। গত নভেম্বরে এসপিডির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।