রবিবার
২০শে এপ্রিল, ২০২৫
৭ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতার পর দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল

Fresh News রিপোর্ট
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
৮:৩৩ অপরাহ্ণ

দেশ ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখালেও বাস্তবে সেটি রূপ পায়নি বাংলাদেশ দলের জন্য। মাত্র পাঁচ দিনের লড়াই শেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগারদের। টানা দুই হারের পর গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ব্যর্থ মিশনের সমাপ্তি ঘটিয়ে আজ রাতেই দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ, যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী ভারত, পাকিস্তান ও দুর্দান্ত ছন্দে থাকা নিউজিল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের পরাজয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। কোনো ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি শান্তর দল। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াইশো রানের সংগ্রহও গড়া সম্ভব হয়নি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পরই নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের বিদায়। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াইটি ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। তবে প্রকৃতিও হয়তো সেই ম্যাচে তেমন উত্তেজনা দেখতে চায়নি, বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছে। ফলে তিন ম্যাচে দুই হারে ও এক পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বেই থেমে যায় এবং তৃতীয় স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করে।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের বিচারে কিছুটা আলো ছড়িয়েছেন তরুণ ব্যাটার জাকের আলি অনিক। দুটি ম্যাচে এক হাফ-সেঞ্চুরির সাহায্যে ১১৩ রান করেছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। হৃদয় আসরে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১০৭ রান সংগ্রহ করেছেন। অধিনায়ক শান্ত করেন ৭৭ রান, যা এসেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে অভিজ্ঞ ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। মুশফিকুর রহিম দুই ইনিংসে যথাক্রমে ০ ও ১ রান করেছেন, আর মাহমুদউল্লাহ চোট কাটিয়ে ফিরলেও ব্যর্থ হয়েছেন।

টপ অর্ডারেও বড় ধস নেমেছে। ওপেনার তানজিদ হাসান দুই ম্যাচে ২৪ ও ২৫ রান করেন, সৌম্য সরকার এক ম্যাচ খেলেও কোনো রান করতে পারেননি। দলের ভাইস ক্যাপ্টেন মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিং ও বোলিং—দুই বিভাগেই ছিলেন নিষ্প্রভ।

বোলিং বিভাগেও আশানুরূপ পারফরম্যান্স আসেনি। স্পিনার রিশাদ হোসেন ছিলেন দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছেন। পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট, তবে রান দিয়েছেন অনেক। আরেক পেসার নাহিদ রানা ১ উইকেট পেলেও বাংলাদেশের অন্য কোনো বোলার উইকেটের দেখা পাননি।

ব্যর্থতার হতাশা নিয়ে বাংলাদেশ দল এবার দেশে ফিরছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে পারফরম্যান্স ভুলে আগামী দিনে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামতে হবে টাইগারদের।