শনিবার
১৯শে এপ্রিল, ২০২৫
৬ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

রমজানের রোজার বিধান ও বিশেষ ছাড়

Fresh News রিপোর্ট
মার্চ ১১, ২০২৫
১২:০৩ অপরাহ্ণ

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা রমজানের রোজার ফরজ হওয়ার বিষয়ে বলেছেন –  “হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হলো, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হও।” (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের রোজার গুরুত্ব সম্পর্কে একাধিক হাদিসে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। হজরত তালহা ইবনু উবায়দুল্লাহ (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে এক গ্রাম্য ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে ফরজ ইবাদত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, রমজানের রোজা ও নির্ধারিত পরিমাণ জাকাত ফরজ। ওই ব্যক্তি বলেন, “আমি এর কিছু কমাব না, বাড়াবও না।” রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন বলেন, “সে যদি সত্য বলে থাকে, তবে সফল হবে বা জান্নাত লাভ করবে।” (বুখারি, হাদিস : ১৭৭১)।

রমজানের রোজা রাখা প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য ফরজ। তবে শরীয়তে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে রোজা না রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, যেমন— ভ্রমণকালীন সময়, গুরুতর অসুস্থতা, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা যদি নিজে বা শিশুর জন্য ঝুঁকি অনুভব করেন, চরম ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কারণে জীবননাশের আশঙ্কা হলে, ইকরাহ বা জোরপূর্বক খাওয়ানোর পরিস্থিতি, এবং জিহাদের ক্ষেত্রে শারীরিক দুর্বলতা এড়ানোর প্রয়োজন হলে।

যারা বৈধ কারণ ছাড়া রোজা ভেঙে ফেলেন, তাদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত রয়েছে, তবে যারা বিশেষ কারণে রোজা রাখতে পারেন না, তারা পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করতে পারবেন। ইসলাম ধর্মে রোজার গুরুত্ব অত্যধিক, তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত যথাযথভাবে রোজা পালন করা এবং যদি কোনো কারণবশত রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তবে শরিয়তের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া।