দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বছরের দ্বিতীয় ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয়ের প্রভাব। বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টিবলয়। এ সময় দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃষ্টিবলয়টি উত্তরবঙ্গ, রংপুর ও কক্সবাজার এলাকা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং ২২ এপ্রিল সিলেট হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় থাকবে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ। মাঝারি সক্রিয় থাকবে রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ, আর অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় থাকবে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু অংশে।
বৃষ্টিবলয়ের সময়কালজুড়ে হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়া, কালো মেঘ, বজ্রসহ স্বল্পস্থায়ী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, বিশেষ করে সক্রিয় এলাকাগুলোতে মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঢাকায় এই সময়ে ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার, সিলেটে ৯০ থেকে ১৩০ মিলিমিটার, রংপুরে ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৫০ থেকে ৭০ মিলিমিটার এবং রাজশাহীতে ৩০ থেকে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
বিডব্লিউওটি আরও জানিয়েছে, বৃষ্টিবলয়ের সময় উত্তরের কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহও অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল থাকবে এবং সমুদ্রগামী নৌযানকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই বৃষ্টিবলয় দেশের কৃষি ও পানিসেচ ব্যবস্থার জন্য কিছুটা ইতিবাচক হলেও, আকস্মিক ঝড় ও বজ্রপাতের কারণে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।