বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার চুরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, এটি ছিল পুরো দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার একটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র।
রোববার (১৩ এপ্রিল) আইন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে যেসব অর্থ চুরি হয়, তা ছিল বড় পরিসরের একটি সাইবার অপরাধের অংশ। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে স্ক্যান করা ভুয়া অনুরোধে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে ৮৮ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন—এই লুটের পরিকল্পনা ছিল দুই বিলিয়ন ডলারের। যদি সেটা বাস্তবায়িত হতো, তাহলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক বিপদের মুখে পড়ত।”
তিনি আরও বলেন, “সেই সময়কার সরকার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে আগ্রহ দেখায়নি বরং সিআইডিকে এমনভাবে প্রভাবিত করা হয়, যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জড়িত কর্মকর্তাদের নাম অভিযোগপত্রে না আসে।”
ড. আসিফ নজরুল জানান, সরকারের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের একটি রিভিউ কমিটি এ বিষয়ে পুনরায় কাজ শুরু করেছে এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কী কী করণীয় রয়েছে, তা নির্ধারণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখনো চুরি যাওয়া অর্থের একটি বড় অংশ ফেরত আসেনি এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনের তদন্ত প্রতিবেদনে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকের নাম রয়েছে। আমরা সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করছি এবং দায়িত্বশীলভাবে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”