আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় সোমবার (১৮ নভেম্বর) রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৫ জনের মামলার শুনানি। এই শুনানি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তানিম।
মামলার প্রেক্ষাপট
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের মামলাটি রাজনৈতিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গণহত্যা, নির্যাতন এবং সাংবিধানিক অবকাঠামোর অপব্যবহার। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাগুলোর শুনানি ও বিচার কার্যক্রম চলছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনের হাজিরা
একই দিনে ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ১৩ জনকে হাজির করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
আসামিদের বর্তমান অবস্থা
এই ১৩ জন আসামি বর্তমানে অন্য মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি ব্যবসায়িক বিরোধ থেকে সৃষ্ট সহিংসতার অভিযোগও রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে তাদের উপস্থিতি বিচার প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাইব্যুনালের গুরুত্ব ও প্রত্যাশা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে এই ধরনের উচ্চ প্রোফাইল মামলাগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ন্যায়বিচারের অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই মামলাগুলোর বিচার রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এ বিষয়ে সঠিক তথ্য ও নিরপেক্ষতার গুরুত্ব অপরিসীম। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে প্রয়োজনীয় সব তথ্য-উপাত্ত ট্রাইব্যুনালে পেশ করার মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রত্যাশা রয়েছে।
পরবর্তী কার্যক্রম
শুনানির পরবর্তী পর্যায়ে নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রমাণ উপস্থাপন ও যুক্তিতর্ক শুনানি করা হবে। এসব মামলার রায় দেশের বিচার ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।