গত ১৪ নভেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নয়টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠন করলেও অ্যাথলেটিক্সে কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে ছিল। তবে নতুন কমিটির নির্বাহী সভায় বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তারুণ্যের উৎসবের মাধ্যমে অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা আয়োজনের পর আগামী ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এবারের জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে রেকর্ড গড়লে অ্যাথলেটরা পাবেন ২০ হাজার টাকা পুরস্কার, যা অতীতে বিরল। সাবেক দ্রুততম মানব ও কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, “গত দুই দশকে ফেডারেশন এ ধরনের আর্থিক পুরস্কার দেয়নি। এটি অ্যাথলেটিক্সের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” রেকর্ড ছাড়াও পদকজয়ীরা স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদকে যথাক্রমে ৫, ৩ ও ২ হাজার টাকা পাবেন। অতীতে পদকজয়ীরা কেবল মেডেল ও সনদ পেতেন।
জাতীয় প্রতিযোগিতার আগে ১৫-২৮ জানুয়ারি ৬৪টি জেলার অংশগ্রহণে আটটি বিভাগীয় শহরে আন্তঃজেলা প্রতিযোগিতা এবং ৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তঃবিভাগীয় প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিটি জেলা থেকে ন্যূনতম ২০ জন অ্যাথলেট অংশ নেবে, আর প্রতিটি দলের জন্য ২০ হাজার টাকা ভাতা বরাদ্দ থাকবে। পুরো কার্যক্রমের জন্য ফেডারেশনের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩.৫ লাখ টাকা।
সত্তর ও নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের অ্যাথলেটিক্সে বর্ণিল সাফল্য দেখা গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে এটি ম্লান হয়ে গিয়েছিল। ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমানের পারফরম্যান্সের জন্য গত দুই বছর অ্যাথলেটিক্স খানিকটা আলোচনায় এসেছে। নতুন এ উদ্যোগ অ্যাথলেটিক্সে পুরনো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।