বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সমাধানে দুটি রোডম্যাপ—সংস্কার ও নির্বাচন—প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেছে। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, প্রধান উপদেষ্টা এই দুই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন।
শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন জামায়াতের শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অস্বাভাবিক অবস্থার পটভূমিতে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর এক অনির্ধারিত বক্তব্য সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, যা জাতির মাঝে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার ওই বক্তব্য দায়িত্ব নিয়ে বিবেচনা করার ইঙ্গিত দিলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হয়নি। এ নিয়ে জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, জাতির চাহিদা হলো অর্থবহ সংস্কার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যেখানে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগে নিশ্চিন্ত বোধ করবে, সেখানে পেশিশক্তি ও কালো টাকার প্রভাব থাকবে না।
তিনি জানান, সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেখানে নেতৃত্ব দানকারীদের নির্দলীয় থাকার কথা থাকলেও কিছু ব্যতিক্রম সমাজকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। তাই তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি সুস্পষ্ট সময়সূচি ও সংস্কার রূপরেখা প্রত্যাশা করছেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা চেয়েছি যাতে কোনো বড় ধরনের জনভোগান্তি ছাড়াই, একটি আরামদায়ক সময়ে নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনের আগে সংস্কার ও বিচারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার সব সংস্কার একাই করতে পারবে না, তবে যে পাঁচটি খাতে তারা কাজ শুরু করেছে, তাতে সন্তোষজনক অগ্রগতি জরুরি।”
জামায়াত নেতার মতে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবেই এবং গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো ভিন্নমত সহ্য ও শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করা।
ডা. শফিকুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যদি সব দল দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ নিয়ে সংস্কারে সহযোগিতা করে, তবে একটি অর্থবহ নির্বাচন সম্ভব হবে। আমরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছি।”
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের উপস্থিত ছিলেন।
