প্রথম তিন ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়ে চমক দেখিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। যদিও সামরিক উত্তেজনায় পিএসএলে সাময়িক ছেদ পড়ে, তবুও ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে দুর্দান্তভাবেই শেষ করেছেন নিজের প্রথম বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অভিষেকেই নজর কেড়েছেন রিশাদ। শুরুটা ছিল দারুণ, প্রথম তিন ম্যাচেই তুলে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। এরপর সাময়িকভাবে ব্যস্ত হন জাতীয় দলের হয়ে খেলায়, তবে ফিরেই আরও দুই ম্যাচ খেলেন এবং যোগ করেন ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে আসর শেষ করেন তিনি।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি অভিষেকে এটি এখন তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড। সবার উপরে আছেন সাকিব আল হাসান, যিনি ২০১১ সালে ভাইটালিটি ব্লাস্টে ওরচেস্টারশায়ারের হয়ে ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, যিনি আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে অভিষেক মৌসুমে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট।
রিশাদ তার পিএসএল অভিষেকে শুধু উইকেট শিকারেই নয়, গড় হিসাবেও প্রশংসা পেয়েছেন। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলেই তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় ১০ম স্থানে জায়গা করে নেন। আবার অন্তত ২০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে গড়ের বিচারে তিনি আছেন পঞ্চম স্থানে।
এই পারফরম্যান্সে রিশাদ পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য হওয়ার স্বাদও। লাহোরের হয়ে খেলে দলকে ফাইনালে তুলতে রেখেছেন বড় ভূমিকা। যদিও ফাইনালে কিছুটা খরুচে ছিলেন, তবে গোটা আসরজুড়ে তার পারফরম্যান্স ছিল ধারাবাহিক ও কার্যকর।
শুরুটা যতটা উজ্জ্বল হয়েছে, এখন দেখার বিষয়—ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে পাওয়া আত্মবিশ্বাস তিনি কতটা ধরে রাখতে পারেন জাতীয় দলের জার্সিতেও। বাংলাদেশের ভক্তরা এখন তাকিয়ে সেই ধারাবাহিকতার দিকেই।
