ফ্রেশ নিউজ :
কানাডার পার্লামেন্টে দেয়া ভাষণে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সম্পর্কের উৎস হলো পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং এর ভিত্তি হলো অভিন্ন স্বার্থ, যার লক্ষ্য হলো উভয় সার্বভৌম দেশের জন্য রূপান্তরমূলক সুবিধা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, কানাডার সরকার বিশ্বজুড়ে তার বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে সম্পর্কে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। “এটিই বলে দেয় বিশ্বের যা প্রয়োজন এবং বিশ্ব যে মূল্যবোধগুলোকে সম্মান করে কানাডার তা আছে।
ভাষণে তিনি বলেন, “আজ কানাডা আরেকটি সংকটময় সময় মোকাবিলা করছে। গণতন্ত্র, বহুত্ববাদ, আইনের শাসন, আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ও মুক্তির মতো মুল্যবোধগুলোর সুরক্ষায় সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ”।
রাজা চার্লস বলেন, অংশীদারদের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। “কানাডা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। অনেক কানাডিয়ান উদ্বিগ্ন। এরপরেও এই মুহূর্তটি একটি চমৎকার সুযোগও। নবায়নের সুযোগ। বড় চিন্তা করতে এবং বড় দায়িত্ব পালনের সুযোগ”।
তিনি বলেন, সমমনা দেশগুলোর সাথে জোট গড়তে কানাডা এখন প্রস্তুত, যা তার মূল্যবোধের অংশ, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় এবং পণ্য, সেবা ও আইডিয়ার মুক্ত ও খোলা বিনিময়ে বিশ্বাস করে।
বাণিজ্য বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে রাজা বলেন, “আমরা প্রবৃদ্ধির নতুন যুগের উন্মোচন করবো যা শুধু বাণিজ্য যুদ্ধে টিকে থাকাই নিশ্চিত করবে না, বরং আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী করবে”। তিনি এটি কানাডাকে গ্রিন ও প্রচলিত জ্বালানির ক্ষেত্রে সুপারপাওয়ারে পরিণত করবে, যা কানাডাকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগী করে তুলবে।