রবিবার
৮ই জুন, ২০২৫
২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

‘হিরো দ্যা ডন’ এখন সিরাজগঞ্জের সেরা কোরবানির ষাঁড়

Fresh News রিপোর্ট
মে ২৯, ২০২৫
১২:০৬ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার কাজিপুরা গ্রামের রাফি ভূঁইয়ার খামারে ঈদুল আজহাকে ঘিরে সবার দৃষ্টি কেড়েছে একটি বিশাল আকৃতির লাল রঙের ষাঁড়—‘হিরো দ্যা ডন’। প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা এই ষাঁড়টির ওজন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেজি এবং দাম হাঁকা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।

‘হিরো দ্যা ডন’-এর আকৃতি, স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন রাফির খামারে। ষাঁড়টির চলাফেরা ও চঞ্চলতায় রয়েছে একধরনের বীরত্বের ছাপ, যা সিনেমার কোনো ডনকে মনে করিয়ে দেয় বলেই রাফি এর নাম রেখেছেন ‘হিরো দ্যা ডন’।

রাফি ভূঁইয়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হলেও শখের বসে গরু পালন শুরু করেন। মাত্র ৫ লাখ টাকার ব্যাংক ঋণ নিয়ে শুরু করেন খামার যাত্রা। প্রথমে দুটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু কিনে লাভের মুখ দেখেন, এরপর বাড়তে থাকে গরুর সংখ্যা ও সাফল্য। বর্তমানে তার খামারে রয়েছে ১১টি গরু, যেগুলোর মোট বাজারমূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা।

‘হিরো দ্যা ডন’ ছাড়াও রাফির খামারে ঈদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে আরও তিনটি গরু—৯৫০ কেজির গীর জাতের ‘সোনা’ (৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা), ৬৫০ কেজির ‘ক্রাস বাহমার’ (২ লাখ টাকা) এবং ৮০০ কেজির ‘গ্রামার ক্রস বাহম’ (৩ লাখ টাকা)।

প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করার বিষয়ে রাফি বলেন, তিনি কাঁচা ঘাস, ছোলা, ভূটা ও ভূষি দিয়ে গরুগুলোকে বড় করেন—কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না।

রাফির ভাষ্য, নিজের ওপর বিশ্বাস আর ধৈর্য থাকলে সাফল্য আসে। চাকরির পাশাপাশি খামারে সময় দিয়েই তিনি আজ সফল খামারিতে পরিণত হয়েছেন। তরুণদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, যে কাজেই মনোযোগ দেওয়া যায়, সেটাই বড় কাজ—ছোট করে দেখা উচিত নয়।