উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এর ফলে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলজুড়ে বিরাজ করছে অস্থির আবহাওয়া।
প্রভাব পড়েছে রাজধানীসহ সারাদেশেই। সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা বাতাস। একই চিত্র দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায়ও দেখা যাচ্ছে, যার ফলে জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, গোটা দেশ এখন একটি শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ মৌসুমি বৃষ্টিবলয়ের আওতায় রয়েছে। এটি চলতি বছরের পঞ্চম এবং প্রথম মৌসুমি বৃষ্টিবলয়, যা আগামী ৩ জুন রংপুর হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে।
এই বৃষ্টিবলয়ের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ঢাকায় ১৭০-২২০ মিলিমিটার, খুলনায় ১৬০-২৫০ মিলিমিটার, বরিশালে ১৬০-২৫০ মিলিমিটার, সিলেটে ২০০-৩৫০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ১৫০-২২০ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ৮০-১৪০ মিলিমিটার, রংপুরে ১৭০-৩০০ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে, তাই সবার সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।