বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক হিসেবে আর রাখা হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে এক অফিস আদেশে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এর ফলে তিনি আর বিসিবির পরিচালক নন—এবং এই অবস্থায় তার সভাপতির পদে থাকা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি জানান, বিসিবির আট পরিচালক ফারুক আহমেদের প্রতি অনাস্থা জানানোয় বিসিবির কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখতে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে সভাপতির পদে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালকরাই নেবেন।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি হতে হলে তাকে পরিচালক হতে হয়, তবে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যদি তিনি পরিচালক পদ হারান, তবুও তার অপসারণ বা পদত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই। ২০২৪ সালের গঠনতন্ত্রের ৮ম অধ্যায়ে গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা দেওয়ার ক্ষমতা রাখা হয়েছে পরিচালনা পর্ষদের হাতে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ফেডারেশনগুলোর যেকোনো রদবদলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হাতে থাকলেও, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর (যেমন আইসিসি ও ফিফা) নির্দেশনার কারণে সরাসরি হস্তক্ষেপ থেকে তারা বিরত থাকে।
এদিকে ফারুক আহমেদের পরিবর্তে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। তবে বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী (ধারা ১২.৭), এই মনোনয়নের বৈধতা নিশ্চিত করতে হবে পরিচালনা পর্ষদের সভায়। বর্তমানে সভাপতির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় ওই সভা আহ্বান নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে বিসিবির ২৫ জন পরিচালকের মধ্যে সক্রিয় রয়েছেন ৯ জন। কোরামের জন্য এক তৃতীয়াংশ পরিচালক প্রয়োজন, যা এখনও পূরণযোগ্য হলেও সিদ্ধান্ত গ্রহণে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দ্বিধা স্পষ্ট।
এই সংকট নিরসনে প্রয়োজন হলে বিসিবি আইসিসির গাইডলাইনের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা সরকারের কাছে সহায়তা চাইলে, ক্রীড়া পরিষদ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সচিব আমিনুল ইসলাম।