গাজায় চলমান সহিংসতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক’ জবাব দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তবে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের শর্ত দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
শনিবার (৩১ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স হামাসের এক কর্মকর্তার বরাতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো প্রস্তাবে তারা ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। প্রস্তাবটি গত সপ্তাহে হামাসের কাছে পৌঁছে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ। এতে ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি জিম্মি বিনিময়ের কথা বলা হয়, যাতে সম্মতি দেয় ইসরায়েল।
প্রস্তাবে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি শুরুর সাত দিনের মধ্যে হামাস ১০ জন জীবিত ও ১৮ জন মৃত জিম্মিকে মুক্তি দেবে। হামাস জানায়, তারা জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত, তবে তা ধাপে ধাপে হবে যেন মুক্তির পর ইসরায়েল পূর্বের মতো আবার হামলা না চালাতে পারে। তাদের অভিযোগ, আগের চুক্তিতেও মুক্তির পরপরই ইসরায়েল পুনরায় আগ্রাসন শুরু করেছিল।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে জিম্মি পরিবারের সদস্যদের জানান, তিনি গাজায় যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ করবেন না। এতে করে হামাসের শঙ্কা আরও বাড়ে যে, জিম্মি মুক্তির পরই আবার আগ্রাসন চালানো হবে।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে পারে, তবে শর্ত হলো হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে এবং তাদের যোদ্ধারা গাজা ছেড়ে যাবে। জবাবে হামাস জানায়, যতদিন ইসরায়েল দখলদারিত্ব বজায় রাখবে, ততদিন তারা অস্ত্র ধরে রাখবে।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল একটি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, হামাস যে শর্তগুলো প্রস্তাবে যুক্ত করেছে, ইসরায়েল তা ‘প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান’ হিসেবে দেখছে। এতে করে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গাজার মানুষদের দুর্ভোগের শেষ কোথায়—সে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।