এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ও তার আগে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। এই দুই ম্যাচ ঘিরে থিম সং ও টিভিসি নির্মাণে ৬০ লাখ টাকা দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, যা নিয়ে ক্রীড়ামহলে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার ২৬ মে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে দুই ম্যাচের জন্য ৬৫ লাখ টাকা অনুদান চেয়েছিলেন। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে এনএসসি ২৯ মে একটি চিঠির মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এই অর্থ মূলত ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর অংশ হিসেবে থিম সং ও টিভিসি নির্মাণ এবং প্রচারে ব্যয় করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে বাফুফে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ চাইলেও মাঠে এখনো কোনো থিম সং বা টিভিসি দেখা যায়নি। ফলে সময় স্বল্পতায় এর বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে একটি বাছাইপর্ব ও একটি প্রীতি ম্যাচের জন্য থিম সং নির্মাণ এবং তার পেছনে এত বড় অর্থ ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও ক্রীড়ামহলে সমালোচনা হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, যেখানে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সঙ্গীত দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের বাইরে, সেখানে নতুনভাবে থিম সং তৈরির নামে এত টাকা ব্যয় করাটা অপ্রয়োজনীয়। ১৯৭৮ সালে রচিত জাতীয় ক্রীড়া সঙ্গীতটি এক সময় ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে তা একেবারেই বিলুপ্ত। এই ঐতিহ্য ধরে রাখার বা সংস্কৃতির অংশ করে তোলার কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই এনএসসি’র পক্ষ থেকেও।
অন্যদিকে, বাফুফে একাধিক স্পন্সর পেয়েও সিঙ্গাপুর ম্যাচ আয়োজনের জন্য সরকারি সহায়তা চেয়েছে, যা পাওয়া গেছে দ্রুততম সময়ে। কিন্তু ম্যাচের টিকিট বরাদ্দ নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকেই রাখছে অনিশ্চয়তায়। সাধারণত সরকারি ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জন্য আসন সংরক্ষণের নিয়ম থাকলেও এবার সে ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়নি।
সব মিলিয়ে, থিম সং ও টিভিসিকে কেন্দ্র করে অর্থ ব্যয়ের পেছনে স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা নিয়েই এখন উঠেছে প্রশ্ন। সেই সঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া সংস্কৃতি ও নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা অসন্তোষ।
