৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কিন্তু এই বাজেটের সঙ্গে আগের সরকারের বাজেটের কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে তাঁতী দলের আয়োজনে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এই সরকার তো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত, তাদের হাত দিয়ে বাজেট হওয়া মানেই ছিল জনগণের স্বার্থে কিছু থাকবে। অথচ দেখা যাচ্ছে ২৩ শতাংশ যাচ্ছে প্রশাসনের বেতনে, ১৪ শতাংশ সুদে। গরিব মানুষের জন্য কি রাখা হয়েছে তা জনগণ জানতে চায়।
তিনি বলেন, আগের সরকারের মতোই এই বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনার বাজেটেও এটা ছিল, এখানেও তাই। তাহলে পার্থক্যটা কোথায়? বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দও কম। অথচ এই দুই খাতেই দেশের মানুষের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
রিজভীর মতে, দেশের গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়েছিল ভালো কিছুর প্রত্যাশায়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বাজেট শুধু ধনীক শ্রেণির পক্ষে যাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর কোনো স্পষ্ট রূপরেখা নেই, বরং মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের উপর চাপ আরও বাড়বে।
জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করে তিনি বলেন, তিনি শুধু একজন নেতা ছিলেন না, তিনি একটি যুগের প্রতীক। দুর্ভিক্ষ-দারিদ্র্যে বিপর্যস্ত দেশকে কৃষি, খাদ্য ও অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী করতে বহু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। খাল খনন থেকে শুরু করে কৃষিঋণ বিতরণে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যার ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতি দাঁড়াতে পেরেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলামসহ দলের অন্যান্য নেতারা।
