বিশ্বব্যাংক ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটির মতে, উচ্চ শুল্ক ও বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা বিশ্ব অর্থনীতির বড় প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ প্রতিবেদনে জানানো হয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্ক যুদ্ধের প্রভাব, প্রায় সব অঞ্চলের প্রবৃদ্ধিকে থমকে দিচ্ছে। সংস্থাটি পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশ্বের প্রায় ৭০ শতাংশ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাদের ছয় মাস আগের পূর্বাভাসের তুলনায় কমবে।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীনসহ ছয়টি উদীয়মান অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থাটির মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে শুল্ক বাড়ানোয় বৈশ্বিক বাণিজ্যব্যবস্থায় চাপ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্কহার ৩ শতাংশ থেকে এখন দুই অঙ্কে পৌঁছেছে, যা প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সর্বোচ্চ। চীনসহ বিভিন্ন দেশ পাল্টা পদক্ষেপও নিয়েছে।
যদিও মার্কিন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং করছাড় নীতির মাধ্যমে এই নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব, তবুও বিশ্বব্যাংকের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এই অবস্থার ফলে ২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধি হবে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে দুর্বল একটি সময়, যদিও সেটি সরাসরি মন্দা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়নি।
বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০২৭ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে মাত্র ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা ১৯৬০-এর দশকের পর থেকে একক দশকে সবচেয়ে ধীরগতি।