ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের সুযোগ দেওয়া যাবে না – এমন নীতিতে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনা ও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ল্যামি জানান, তারা কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছেন এবং এই আলোচনার জন্য দুই সপ্তাহের একটি সময়সীমা হাতে রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্রও জানান, ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সুযোগ দেওয়া হবে না – এই বিষয়ে দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন। তাদের মতে, ইরানকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আলোচনার টেবিলে আনা জরুরি।
এই অবস্থান এমন এক সময় প্রকাশ্যে এলো, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, ট্রাম্প বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং আলোচনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের এই যৌথ ঘোষণা ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টির একটি কৌশল, যাতে তারা পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলোচনায় রাজি হয়।