গত ১৮ মাসে মিয়ানমারে সহিংসতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, যা ২০১৭ সালের গণহত্যার পর সর্বোচ্চ প্রবেশের ঘটনা বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার।
শুক্রবার জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র বাবার বালোচ জানান, রাখাইন রাজ্যে পুনরায় নিপীড়ন, টার্গেট হামলা এবং চলমান সংঘাতের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপত্তার খোঁজে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। নতুন আসা এসব শরণার্থীর গন্তব্য কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির, যা আগেই অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর সময় প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কায় এবারের রোহিঙ্গা প্রবাহ আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
রোহিঙ্গাদের দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ মানবিকতা বজায় রেখে শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বৈশ্বিক সহায়তা জোরদারের আহ্বান জানিয়ে আসছে।