সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় সরকার সমন্বিত পরিকল্পনা ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। দ্বীপবাসীর জীবনমান উন্নয়নের মাধ্যমে দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ‘স্টাডিজ অ্যান্ড প্ল্যানিং’, ‘পরিবেশবান্ধব বিকল্প জীবিকা প্রকল্প’, ‘ইকো-ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট প্রোপোজাল’ এবং ‘সাস্টেইনেবল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।
সভায় জানানো হয়, স্থানীয় দরিদ্র কৃষিজীবীদের লবণ ও জলবায়ু সহনশীল ফসল চাষে সহায়তা দেওয়া হবে। থাকবে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী, কম্পোস্ট ও ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির সহায়তা। নারকেল গাছে জৈব বালাইনাশক ব্যবহারে প্রশিক্ষণ এবং হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু পালনের ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
মৎস্যজীবীদের জন্য মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে এবং দেওয়া হবে পরিবেশবান্ধব জাল ও টেকসই সরঞ্জাম। এছাড়া সেলাই, টুপি তৈরি, ধাত্রীবিদ্যা ও কম্পিউটার, মোটর ড্রাইভিং, নৌযান চালনা, ইলেকট্রনিকস, হোটেল ম্যানেজমেন্টসহ বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় যুবকদের ট্যুর গাইড হিসেবে গড়ে তোলা ও ‘পরিবেশ গার্ড’ গঠন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকছে। সভা শেষে দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পরিকল্পনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মো. নাভিদ শফিউল্লাহ, ড. ফাহমিদা খানম, মো. খায়রুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান ও প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। এছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিইজিআইএস, মৎস্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।