ফ্রেশ নিউজ :
গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও মারপিটের ঘটনায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বাঘের বাজার সাফারি পার্ক সড়কের একটি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী অটোরিকশা চালকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই হুমকি, গালাগাল ও হামলার শিকার হচ্ছিলেন চালকেরা।
গত ১১ জুলাই বিকেল চারটার দিকে চাঁদা আদায়ের সময় বাধা দিলে চালক দেলোয়ার হোসেন (৪৫), রাফিদ মিয়া (১৬) ও রাকিব সরকারকে (২৩) দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত হন রাফিদ। দেলোয়ার হোসেনকে মারধরের পর তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং জোরপূর্বক ইসলাম উদ্দিনের চালের গুদামে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে উদ্ধার করে এবং আহতদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন: সদর উপজেলার বানিয়ারচালা গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে মিয়ার উদ্দিন (৪৩), আনিছ আলীর ছেলে শাহজাহান (৪৬), মিয়ার উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (২৫) এবং একই গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে ও বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসলাম উদ্দিন (৪৫)।
জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ বলেন, ‘অটোরিকশা স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’