শনিবার
২রা আগস্ট, ২০২৫
১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

তারেক ও জুবাইদার সাজা বাতিলের রায়ে বিচারিক আদালতের অসঙ্গতির চিত্র

Fresh News রিপোর্ট
জুলাই ১৫, ২০২৫
৮:৫১ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে দেওয়া সাজার রায় বাতিল করে হাইকোর্ট যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে, তাতে বিচারিক আদালতের কার্যক্রমে একাধিক অসঙ্গতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৫২ পৃষ্ঠার রায়ে হাইকোর্ট বলেন, মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং মাত্র আট দিনের ব্যবধানে রায় ঘোষণার এমন দ্রুততা স্বাভাবিক ও নিরপেক্ষ বিচারপ্রক্রিয়ার প্রশ্ন তোলে।

রায়ে আরও বলা হয়, মামলার অন্যতম আসামি জুবাইদা রহমানকে উপযুক্তভাবে নোটিশ ইস্যু করা হয়নি এবং অভিযোগ গঠনের সময় আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি, যা বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুতর ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়।

এর আগে গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। শুনানি শেষ হয় ২৬ মে এবং তার আগে ১৪ মে আদালত তাদের জামিন দেন ও জুবাইদার আপিল গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২৩ সালের ২ আগস্ট বিচারিক আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান তারেক রহমানকে দুটি ধারায় ৯ বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানা এবং জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা দেন।

গত বছরের শেষ দিকে সরকারের এক আদেশে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

হাইকোর্টের রায়ে উঠে আসা পর্যবেক্ষণগুলো বিচারিক স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।