অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা হামলায় আরও ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২৫২ জন, যা নতুন করে সঙ্কটকে আরও গভীর করেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, বুধবার পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৫৭৩ জনে এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৭ জনে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
বিবৃতিতে জানানো হয়, নিহতদের মধ্যে অনেকের মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় পড়ে আছে, যেখান থেকে উদ্ধারকারীরা নিরাপদে পৌঁছাতে পারছেন না। মানবিক সহায়তা নিতে গিয়েও হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় এভাবে আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি।
গত ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৫১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৩৪ জন। এই পরিসংখ্যান গাজার মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল আবারও গাজায় পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর নতুন করে আরও ৭ হাজার ৭৫০ জন নিহত এবং ২৭ হাজার ৫৬৬ জন আহত হয়েছেন। যদিও এর আগে জানুয়ারিতে অস্ত্রবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিল দুই পক্ষ।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চলছে প্রতিক্রিয়া। গত নভেম্বর মাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় পরিচালিত অভিযানের কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে সংকটের গুরুত্ব তুলে ধরছে।
