দিল্লির গোলামির শিকল ভেঙে আমরা স্বাধীন হয়েছি, এবার ওয়াশিংটনের দাসত্ব রুখতে হবে – এমন আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, একসময় পিন্ডির গোলামির শৃঙ্খল ছিঁড়ে স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছিল। আজ আবার জাতিকে দিল্লির গোলামিতে বন্দি করার চেষ্টা চলছে। তবে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে সেই শিকল ছিন্ন হয়েছে, শুধুমাত্র ওয়াশিংটনের দাসে পরিণত হওয়ার জন্য নয়। তিনি অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নতুন করে বিদেশি আধিপত্য বিস্তারের পাঁয়তারা চলছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সরকার যেন নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদে না পড়ে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে ওয়াশিংটনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।
মামুনুল হক আরও বলেন, ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে রক্ত দিয়ে অর্জিত বিজয় পরবর্তীতে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে তিনি ‘ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা দেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিদেশি স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন। তিনি মেগা প্রকল্পের আড়ালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন এবং অতীতের বিভিন্ন ঘটনার কথা তুলে ধরে বর্তমান পরিস্থিতিকে একটি দুঃসহ স্মৃতি হিসেবে বর্ণনা করেন।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি মুফতি ইব্রাহিম খলিল নোমানী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহুল ইসলাম সুজা। বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তৃতার শেষে, মামুনুল হক আগামী জাতীয় নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কুড়িগ্রাম-১ আসনে শহিদুল ইসলাম ফয়েজি, কুড়িগ্রাম-২ এ মুফতি নুরুদ্দীন কাশেমী, কুড়িগ্রাম-৩ এ মামুনুর রশীদ এবং কুড়িগ্রাম-৪ এ মুফতি শাহাদত হোসাইনকে মনোনীত করা হয়।