বাংলাদেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাদাতাদের ওপর বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কায় বুধবার (৩০ জুলাই) সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইসিটি বিভাগ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে সব তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক খাত, স্বাস্থ্যসেবা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবিলম্বে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
নির্দেশনায় সার্ভার ও ডেটাবেইস নিয়মিত আপডেট রাখা, অপ্রয়োজনীয় পোর্ট বন্ধ করা, অনুমতিভিত্তিক এক্সেস নিশ্চিত করা এবং ৩-২-১ কৌশল অনুসরণ করে নিয়মিত ব্যাকআপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডেটা স্থানান্তর ও সংরক্ষণে এনক্রিপশন বাধ্যতামূলক করা এবং সব গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (এমএফএ) চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, আধুনিক সিকিউরিটি টুলস ব্যবহার, এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (ইডিআর), অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার হালনাগাদ ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় ইনসিডেন্ট রেসপন্স প্ল্যান ও বিশেষায়িত টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সন্দেহজনক লগইন, ফাইল পরিবর্তন বা বহিরাগত সংযোগ নিয়মিত মনিটর করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
রিমোট এক্সেস, ভিপিএন ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপনায় বাড়তি সতর্কতা, ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা মনিটরিং সেন্টার চালু রাখা, লোড ব্যালান্সার স্থাপন এবং বিজনেস কনটিনিউটি ও ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান হালনাগাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এসব পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য সাইবার হামলা প্রতিরোধ, ক্ষয়ক্ষতি সীমিত করা এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এখনই যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আর্থিক খাতে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।